প্রকাশিত: ০৫/০৩/২০১৮ ৮:০৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪৯ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা পীড়িত এলাকায় বিশেষভাবে সহযোগিতার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে ভারত। সচিবালয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

আজ রোববার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে দেখা করেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা পীড়িত অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। এমন আশঙ্কা করে সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় প্রতিবেশী দেশ ভারত।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, বর্ষা মৌসুমে সম্ভাব্য মানবিক সংকট মোকাবেলা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ মাসের মধ্য থেকে এপ্রিলের মধ্যে গরম হবে ৪০ ডিগ্রি। জলোচ্ছাস, ঘূর্নিঝড়, টর্নেডো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এটা নিয়ে ভাবছি এখন।’

মোফাজ্জল চৌধুরী মায়া আরো বলেন, ‘প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ হচ্ছে শিশু। মা ও শিশুদের আগে বাঁচাতে হবে।’

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির সবাই যেন তাদের স্বভূমে ফেরত যেতে পারে সেজন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশ নিজে ডেকে আনেনি জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার এই সমস্যা মোকবেলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়। আমি মনে করি এ সমস্যা মোকাবিলায় বিশ্বের সবার সাধ্যমত সহযোগিতা করা উচিত। আমি আগের মতই বলতে চাই মানবিক এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের পাশে আছে ভারত।’

গত বছর আগস্টের শেষ দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে চলে আসে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সরকারি হিসেবে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৯ লাখেরও বেশি। কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ও বালুখালীসহ একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য।

পাঠকের মতামত